কর্মশালায় বক্তারা
নৈতিক শিক্ষাই হয়রানি প্রতিরোধের হাতিয়ার
প্রকাশিত : ১৮:২৫, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০
আচরণে বা কর্মে ইতিবাচক পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধনই শিক্ষার উদ্দেশ্য। তবে সে শিক্ষা পূর্ণতা পায় না যদি তার সঙ্গে নৈতিকতা যুক্ত না হয়। ব্যক্তি চরিত্রে সুশাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, দুর্নীতি দমন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার মতো বিষয়গুলো নিশ্চিত করে নৈতিক শিক্ষা। এ কারণে আমাদের প্রচলিত শিক্ষার সঙ্গে নৈতিক শিক্ষার সংযোগ স্থাপন করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাঙ্গণে নৈতিক শিক্ষা বিষয়ক এক কর্মশালায় উঠে আসে এমন মন্তব্য।
গতকাল শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীনস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালার আয়োজন করে অ্যালায়েন্স ফর সাসটেইনেবল গ্রোথ অ্যান্ড পলিসি (এএসজিপি)। ‘নৈতিক শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হয়রানি প্রতিকার’ শীর্ষক কর্মশালায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এতে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক আহমেদ সজল ও এএসজিপির পরিচালক অদ্রিকা এষণা পূর্বাশা প্রশিক্ষন প্রদান করেন। সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হবিবুর রহমান। এর আগে রাজশাহী কলেজ ও শাহ মখদুম নার্সিং কলেজেও একই ধরণের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। যাতে অংশগ্রহণ করেন সেসব প্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। কর্মশালায় প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়। সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন কর্মশালা আয়োজনে এএসজিপিকে সহযোগিতা করছে কাজুকো ভুইয়া ট্রাস্ট।
আয়োজকরা জানান, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এইধরণের কর্মশালার আয়োজন করা হবে। এই কর্মশালার লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটিয়ে সকল ধরনের হয়রানির ঘটনার প্রতিকার করা। কারণ, বেশিরভাগ সময়ই শিক্ষার্থীদের অসেচতনতায় বা অনেকেই ইচ্ছা করে ইভটিজিং বা র্যাগিংয়ের মতো ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজে অস্থিরতা তৈরি করে। এই সংকট মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তোলার লক্ষ্যেই কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে।
আরকে//
আরও পড়ুন